ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

নষ্ট রাজনীতি থেকে দেশকে বের করতে হবে: খালেদা

indexঢাকা: বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “নষ্ট রাজনীতি থেকে দেশকে বের করে না আনলে, দেশ অন্ধকারে চলে যাবে।” কলুষিত রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে খালেদা জিয়া এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে রূপকল্প-২০৩০ প্রণয়ন করছে বিএনপি। সেটির চিত্র তুলে ধরে দলের চেয়ারপারসন বলেন, বিএনপি চায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট- উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ। ক্ষমতায় গেলে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, এই কাউন্সিল থেকে জাতীয় জীবনে জমাট বাঁধা অন্ধকার থেকে আলোর আভাস আনতে হবে। জিয়াউর রহমান জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত  করার যে ধারার সূচনা করেছিলেন তা এখন বিএনপিই পারে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

তিনি জানান, শিগগিরই ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। সব মত ও পথকে নিয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা হবে।

“পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা হবে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের মাপকাঠি। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, অখণ্ডতা সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সংগঠিত, সুসজ্জিত করে গড়ে তোলা হবে।”

এ ছাড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে ক্ষমতায়িত করা হবে এবং এই ক্ষমতা গ্রামকেন্দ্রিক হবে বলে জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, দেশে ন্যায়পাল পদ সৃষ্টি করা হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা তদারকি করা হবে।

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় বলেও উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।

কাউন্সিল উপলক্ষে শনিবার ভোর থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আসতে শুরু করেন দলের কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও নেতাকর্মীরা।

নেতাদের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা বটমূলে হয়েছিল দলের প্রথম কাউন্সিল । ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয়  কাউন্সিল। দীর্ঘ আট বছর পর ১৯৮৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় কাউন্সিল। আর চতুর্থ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় হয় ১৯৯৩ সালে মানিক মিয়া এভিনিউতে। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হয় পঞ্চম কাউন্সিল।

পাঠকের মতামত: